বোমা সন্দেহে রাতভর লাগেজ পাহারা, সকালে মিলল খণ্ডিত লাশ
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র সেতুর পাশে পড়ে থাকা একটি ট্রলিব্যাগ থেকে এক ব্যক্তির হাত, পা ও মাথাবিহীন খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গতকাল রোববার বেলা ১১টার পর থেকে লাল রঙের ট্রলিব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে সন্ধ্যায় পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। বোমা সন্দেহে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা বেষ্টনী করে রাতভর লাগেজটি ঘিরে রাখেন। ওই সময় জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়। ঢাকায় খবর দেওয়া হয় বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর জন্য।
আজ সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। ব্যাগটি তল্লাশি করে পুরুষের গলিত খণ্ডিত লাশ শনাক্ত করেন তাঁরা। পুলিশের ধারণা, খুনের পর কেউ হাত, পা ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে শুধু দেহ ব্যাগে ঢুকিয়ে কৌশলে সেতুর পাশে ফেলে গেছে।
পুলিশ আরো জানায়, খণ্ডিত লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন বলেন, ‘লাগেজটি আমরা গতকাল থেকেই ঘিরে রেখেছিলাম। আমরা সন্দিহান ছিলাম যে ভেতরে কী আছে। ভোরে দেখলাম যে কিছু মাছি লাগেজের চারপাশে উড়ছে। তখন একটু গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। ওই সময় ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ দলও চলে আসে। তাঁরা আসার পর তল্লাশি করে দেখা গেল পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পুরুষের ডেডবডি। বয়স আনুমানিক পঁচিশ থেকে তিরিশ হবে। ডেডবডির হাত-পা ও মাথা কোনোটাই ছিল না।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘এটি পেশাদার অপরাধচক্রের কাজ। তদন্তের পর মরদেহের পরিচয় ও খুনের রহস্য জানা যাবে। এই খুন ঠাণ্ডা মাথায় করা হয়েছে। তবে যেই করুক না কেন, অপরাধীর ফিঙ্গারপ্রিন্ট কিন্তু থাকে। লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমাদের পদ্ধতিগত যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো অনুসরণ করার পর বিস্তারিতভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’