নেত্রকোনায় পায়ের রগ কেটে কৃষককে হত্যার চেষ্টা
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থানে পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনায় নারী-পুরুষসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ও রাতে উপজেলার বারহাট্টা ও আসমা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে কৃষক উসমান গণির শরীরের বিভিন্ন অংশ কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উসমান গণি আসমা ইউনিয়নের গোড়ল গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে।
আহত উসমান গণির ছোট ভাই ইনছান গণি জানান, গ্রামের বাজারে পাটকাঠি বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন উসমান। পথে দেওপুর ঈদগাহ মাঠের কাছে পৌঁছালে জঙ্গলে অপেক্ষায় থাকা প্রতিপক্ষ অলি মিয়া (৩০), সাইফুল ইসলাম (৪০), তরিকুল ইসলাম (৩৫), হাবিব মিয়া, দিপু মিয়া (৩৫) ও শফিক মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উসমানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। অতর্কিত এ হামলায় তারা উসমান গণির শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে, পিটিয়ে পা ভেঙে দেয় ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে পায়ের রগ কেটে দেয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে যাওয়ায় কোনোরকম প্রাণে রক্ষা পান উসমান। পরে তাঁকে পর্যায়ক্রমে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নেত্রকোনা জেলা হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, ঘটনায় জড়িত সাইফুল মিয়াকে গভীর রাতে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অপরদিকে সল্পদশাল গ্রামে পৃথক আরেক ঘটনায় ছোট ভাই বাবুল মিয়া ও তাঁর ছেলে মোশারফ হোসেনের হামলায় বড় ভাই আলতু মিয়া (৬৫) ও তাঁর তিন ছেলেমেয়ে আহত হয়। আহতরা হলেন আলআমিন (৩২), শাকিল মিয়া (১৮) ও নাদিরা আক্তার (২০)। তাদের বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন আহতরা জানান, প্রতিপক্ষ বাবুল ও তাঁর ছেলে মোশারফ মিলে আলতু মিয়ার জায়গা-জমি দখল করার চেষ্টায় ছিলেন। এজন্য গতকাল শুক্রবার রাতে তারা আলতু মিয়ার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় অভিযুক্ত বাবুল ও তাঁর ছেলে মোশারফ ভুক্তভোগীর ঘর থেকে ৫০ হাজার টাকাসহ স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, ‘ঘটনাটির ব্যাপারে আমি আবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’