‘হয় দুই লাখ টাকা দিবি, না হয় ঘর-জমি ছাড়বি’
‘হয় দুই লাখ টাকা দিবি, না হয় ঘর-জমি ছাড়বি।’এর কোনোটিই করেননি আজিজুল। অবশেষে আজিজুল ও তার পরিবারের সদস্যদের গাছের সঙ্গে বেঁধে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। আজ শুক্রবার তাঁর প্রতিবেশী ওহাব ও জলিলসহ তাদের সহযোগীরা এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ আজিজুল। এ ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজিজুল কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ইউনিয়নের বাকসা গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আজিজুল অভিযোগ করে বলেন, ‘এ হামলা ও লুটপাটের সঙ্গে ছিলেন কেড়াগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ইউপি মেম্বর আবদুল গফুর।’
এ ব্যাপারে কেড়াগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিল হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত আবদুল গফুর আজিজুলের প্রতিপক্ষের সমর্থক। এ জমি নিয়ে মামলা চলছে। আবদুল গফুর তা দেখভাল করেন। তিনি হামলা কিংবা লুটপাটের সঙ্গে জড়িত নন। এ জমি নিয়ে অনেক সালিশ হয়েছে।’
আজিজুল আরো বলেন, ‘২২ শতক জমি স্ত্রীকে দিয়েছিলেন আমার শ্বশুর। তিন বছর আগে সেই জমিতে ঘর বেঁধে বসবাস করছি। কিন্তু এই জমি আবদুল ওহাব, আবদুল জলিলসহ কয়েকজন তাদের বলে দাবি করে আসছে। জমি দখলের লক্ষ্যে প্রথমে তারা আমার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। আমি তা দিতে রাজি হননি। এরই জেরে শুক্রবার সকালে ২০ থেকে ২৫ জন লোক আমার বাড়িতে হামলা করে। তারা আমাকে ও পরিবারের লোকজনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে আমার বাড়িঘর ভাঙচুর করে। আমার টাকাসহ সবকিছু লুট করে নিয়ে যায়। তাদের মারপিটে আহত হন আমার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, ছেলে ওসমান গনি, ইমরান হোসেন ও আমার ছেলেবউ আসমিতারা মিতু।’
এদিকে, আজিজুলের বাড়িতে তাণ্ডব চলাকালে স্থানীয় এক যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে আশরাফুল, মোস্তাফিজ, জলিল, ফিরোজ, নজরুল, সেলিমসহ ছয়জনকে আটক করে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনীর উল গিয়াস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ছয়জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’