চতুর্থ দিনের মতো শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ
গেল কয়েকদিন ধরেই পদ্মায় নাব্য সংকটের কারণে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। চতুর্থ দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার এই নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কেবল লাশবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স একটি ফেরির মাধ্যমে পারাপার হচ্ছে। অনেক যাত্রী ঘাট এলাকায় এসে গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে পাঁচ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আবদুল আলিম জানান, চার দিন ধরে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। চ্যানেলে ফেরি চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত গভীরতা নেই। অনেক গাড়ি ঘাটে এসে ফিরে গেছে। একটি ফেরির মাধ্যমে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স পার হচ্ছে। ঘাট এলাকায় এসে স্পিডবোট ও লঞ্চের মাধ্যমে যাত্রীরা পদ্মা পার হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, নদীর বিভিন্ন অংশে পানির গভীরতা তিন ফুট। ১২টি ড্রেজারের মাধ্যমে ২৫০ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তারা নিরলসভাবে চেষ্টা করে নদী খনন করছে। শুক্রবারের মধ্যে ফেরি চলাচলের ব্যবস্থা করে ঘাট সচল করে দেওয়ার আশা ড্রেজার বিভাগের। ছোট আকারের ফেরি স্বাভাবিক চলতে কমপক্ষে ছয় ফুট পানির গভীরতা আর রো রো ফেরি চলতে প্রয়োজন কমপক্ষে আট ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডাব্লিউটিএর নৌপরিদর্শক মো. সোলেমান জানান, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচলে কোনো সমস্যা নেই।
ক্ষোভ প্রকাশ করে যাত্রীরা জানায়, শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরি বন্ধের খবর পেয়ে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় গাড়ি নিয়ে পরিবারপরিজন নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কতদিন এ রকম অচলবস্থা থাকবে এই বিষয়ে জানা নেই। কয়েকদিন ধরে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে ঘাটে পদ্মা পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকগুলো নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে।