জনবহুল এলাকা থেকে মোবাইল টাওয়ার সরানোর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলার মাঠ ও জনসমাগম আছে এমন স্পর্শকাতর জায়গা থেকে মোবাইল টাওয়ার সরানোর নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের স্বাক্ষরের পর এ রায় প্রকাশ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রায় প্রকাশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশন (তেজস্ক্রিয়তা) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, খেলার মাঠ ও জনসমাগম আছে এমন এলাকা থেকে চার মাসের মধ্যে মোবাইল টাওয়ার সরানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
২০১৭ সালের ২২ মার্চ হাইকোর্টে দাখিল করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সেলফোন কোম্পানির টাওয়ার থেকে নিঃসৃত রেডিয়েশনের মাত্রা উচ্চ পর্যায়ের, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। ওই সময় হাইকোর্ট রেডিয়েশনের মাত্রা এবং এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত প্রভাব খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কয়েকটি মোবাইল ফোন টাওয়ার পরিদর্শন করে রেডিয়েশন বিষয়ে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেন।
এ ছাড়া সাত দিনের মধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করতে স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই কমিটিতে বিজ্ঞানী, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অধ্যাপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও আণবিক শক্তি কমিশনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। কমিটিকে মোবাইল টাওয়ার থেকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত প্রভাব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। পরে ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।