রাস্তার মাইক্রোবাস দোকানে, ক্রেতা নিহত
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে হালিমা খাতুন (৪০) নামের এক ক্রেতা নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ১৪ জন।
আজ রোববার বিকেলে উপজেলার বল্লভদি ইউনিয়নের চণ্ডীবর্দী বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হালিমা খাতুন উত্তর বল্লভদি গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, মাওয়াঘাট থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-ফ ১১-০৯১৮) গোপালগঞ্জের উদ্দেশে যাওয়ার সময় চণ্ডীবর্দী বাসস্ট্যান্ডে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসি বেগমের পান-সিগারেটের দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে দোকানের ক্রেতা হালিমা খাতুন চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ সময় দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা আবদুর রব মোল্যা (৫০), আতিয়ার কারিগর (৩৫), সেলিনা বেগম (২৮), শিশু সালমান (৭) ও মাইক্রোবাসের যাত্রীসহ কমপক্ষে ১৪ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ছয়জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও অন্য আহতদের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মাইক্রোবাসের চাপায় হালিমা খাতুন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় মাইক্রোবাসের যাত্রীসহ ১৪ জন আহত হয়। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হোসেন সরকার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর বাকিদের গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আহতদের মধ্যে ভ্যানের যাত্রী, পথচারী ও দোকানদার রয়েছে।