যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ কারাগারে
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশান ও মতিঝিল থানায় করা অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জাফর হোসেন সাংবাদিকেদের বলেন, গুলশান থানায় করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় যুবলীগ নেতা খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৭ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে সিআইডি। সে মামলায় শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াসিন আহসান চৌধুরী চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সে রিমান্ডের মেয়াদ আজ শেষ হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে আটক করে র্যাব। ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায় বলে র্যাব জানায়। তাঁকে পরে র্যাব ৩-এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। পরে খালেদ মাহমুদকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাঁর বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে র্যাব।
১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মতিঝিলের ফকিরাপুল এলাকায় ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই ক্যাসিনোর মালিক হচ্ছেন আটক যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। ওই ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা অবস্থায় নারী ও পুরুষ মিলে ১৪২ জনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়।