আবরার ফাহাদ হত্যায় এবার মুজাহিদের জবানবন্দি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি মুজাহিদুর রহমান হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালতে এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি শেষে বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে আজ একই বিচারক একই হত্যা মামলার আসামি মো. মুয়াজ আবু হুরায়রা ও শামীম বিল্লাহকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন।
মুয়াজকে গতকাল রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। শামীম বিল্লাহকে গত শুক্রবার সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ অক্টোবর আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। সে রাতেই বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আজ পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এর আগে আরো তিনজন জবানবন্দি দিয়েছেন। এঁরা হলেন মামলার ৫ নম্বর আসামি বুয়েটের বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, ৭ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন এবং ৩ নম্বর আসামি ও বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার।
আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে থাকা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে আজ কারাগারে হয়। আসামিরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ওরফে মুন্না এবং সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও কর্মী খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম ওরফে তানভীর।