আবরারের বাড়ি যেতে বিএনপি নেতাদের পুলিশের বাধা
বুয়েটে হত্যার শিকার মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারলেন না বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কুষ্টিয়ায় যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁদের বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।
আজ রোববার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালন শাহ ব্রিজ পার হয় আমান উল্লাহ আমানের গাড়ি। এ সময় কুষ্টিয়ার প্রবেশমুখে গেলে ভেড়ামারা থানা পুলিশের একটি দল ব্যারিকেড দিয়ে তাঁদের আটকে দেয়। ওই সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় আমান উল্লাহ আমানের। এর ১০ মিনিট পর গাড়ি ঘুরিয়ে ঢাকার দিকে ফিরে যান তিনি।
আমান উল্লাহ আমান অভিযোগ করে বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা দলীয় কর্মসূচি ও নিহত আবরারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে কুষ্টিয়া যাচ্ছিলাম। পুলিশি বাধার মাধ্যমে সরকার আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিল। সরকার সংবিধানের ৩৯ ধারা লঙ্ঘন করে গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করেছে। আজ মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে যে অপমান করা হলো, সরকার একদিন এর জবাব পাবে।’
আমান বলেন, ‘গত নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সংগ্রাম চলমান আছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন হবে।’
এ সময় আমান উল্লাহ আমানের সঙ্গে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আলমও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের নিতে কুষ্টিয়া থেকে লালন শাহ ব্রিজে গিয়েছিলেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রূমী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দীন। পরে তাঁরা দুজনই কুষ্টিয়ায় ফিরে যান।
এদিকে বিএনপি নেতাদের কুষ্টিয়া যাওয়ার জেরে লালন শাহ ব্রিজের মুখে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুলিশ বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) আল বিরুনী জানান, তাঁর নিজের নিরাপত্তাজনিত কারণে আমান উল্লাহ আমানকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি অভিযোগ করেন, আজ বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারতের সঙ্গে দেশবিরোধী চুক্তির প্রতিবাদে এবং বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন ছিল। এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে আমান উল্লাহ আমান ও নাজিমুদ্দিন আলম কুষ্টিয়া আসছিলেন। দলীয় কর্মসূচি শেষে আবরারের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের দেখা করার কথা ছিল। মানববন্ধন ভণ্ডুল করতে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে পুলিশ দলীয় নেতাকর্মীদের বের করে দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।