শুধু উন্নয়নে নয়, দুর্যোগ মোকাবিলায়ও রোল মডেল বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি বাংলাদেশকে এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে চান, যাতে যেকোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারে। তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সব সময় প্রস্তুত থাকবে। আর এটাই এখন আমাদের দরকার।’
আজ রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘নিয়ম মেনে অবকাঠামো গড়ি, জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি হ্রাস করি’ প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেল নয়, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়ও রোল মডেল হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমরা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত পার্লামেন্টারি স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ বি তাজুল ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল। অনুষ্ঠানে সরকারের দুর্যোগ সহনশীল ঘর পাওয়া শেফালী রানী শীল ও মো. শহিদুল ইসলাম তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচির (সিপিপি) আওতায় চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনার বিজয়ী তিন স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ বছর ৮২ জন স্বেচ্ছাসেবী এ পুরস্কার পান।
প্রধানমন্ত্রী ১৪ জেলায় ১০০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং ৬৪ জেলায় ১১ হাজার ৬০৪টি দুর্যোগ প্রশমন ঘর উদ্বোধন করেন। পরে তিনি দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমন প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।