বিএনপি নেতা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আটক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় কর্নেল (অব.) মো. ইসহাক মিয়ান নামের আরেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পল্লবী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) এস এম শামীম বলেন, ‘পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ মামলার আসামি হচ্ছেন কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। র্যাব-৪ তাঁদের আটক করে আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে।’
‘কর্নেল (অব.) ইসহাক মিয়ানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে আর মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে সকালে আদালতে পাঠানো হবে,’ যোগ করেন এসি।
এদিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে মেজর (অব.) হাফিজকে আটক করা হয়।’ আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।
শনিবার মধ্যরাতে হাফিজকে আটকের বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেন পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র্যাব-৪ তাঁকে আমাদের থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৭, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। তিনি এখন আমাদের হেফাজতেই আছেন।’
বিএনপি নেতাকে কোথা থেকে আটক করা হয়েছে—এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁকে সম্ভবত বিমানবন্দর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। কখন আটক করা হয়েছে আমি জানি না।’
বিমানবন্দর এলাকা র্যাব-১-এর আওতাধীন, তাহলে র্যাব-৪ কেন—এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, ‘তা আমি জানি না। হয়তো অন্য কোনো সংস্থা তাঁকে আটক করেছে। তারপর র্যাবের কাছে দিয়েছেন। এসবের কিছু আমি জানি না। র্যাব-৪ আমাদের কাছে দিয়েছে, এটা জানি।’