কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান সাতদিনের রিমান্ডে
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসী অর্থপাচার আইনের মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করে শুনানি করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষে মুরাদুজ্জামান মুরাদসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করেন।
শুনানিতে মিজানের আইনজীবী বলেন, ‘আসামি বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। ২৫ বছর ধরে জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছেন। বয়স্ক,অসুস্থ মানুষকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন নেই। যা উদ্ধার হওয়ার তা তো হয়ে গেছে। তাঁকে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়। তিনি জিজ্ঞাসাবাদের পরিস্থিতিতে নেই। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
শুক্রবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের এক বাসা থেকে কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি অস্ত্র ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করে র্যাব।
জানা যায়,অভিযানে কাউন্সিলর মিজানের বাসা থেকে ৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকার চেক এবং ১ কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের (এফডিআর) কাগজপত্র পায় র্যাব। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে দুটি বাড়ি এবং যুক্তরাষ্ট্রে একটি বিলাসবহুল গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করে র্যাব।