দাবি মানার পরও বুয়েটে আন্দোলন কেন : প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যার ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাদের ১০ দফা দাবির সবই মেনে নিয়েছেন ভিসি, তারপরও নাকি তারা আন্দোলন করবে। কেন জানি না, এরপর আন্দোলন করার কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে?’
আজ শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘কারো আন্দোলনের অপেক্ষা করিনি, কারো নির্দেশেরও অপেক্ষা করিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। কে কোন দল করে সেটা কথা না, খুনিকে খুনি হিসেবে আমরা দেখি, অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী হিসেবে আমরা দেখি, অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবে দেখি।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এত ছাত্র হত্যা হয়েছে, কয়টার বিচার, কে করেছে?’
বুয়েটে সংঘটিত সনি হত্যার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন কেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করল না?’
ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, দেড়শ কিলোমিটারেরও দীর্ঘ নদী থেকে একটু খাবার পানি দেওয়া হয়েছে। আর দেশের গ্যাস নয়, আমদানি করা এলপিজি ত্রিপুরায় রপ্তানি করা হবে। এসব নিয়ে অযথাই একটি গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা যেখানে ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, তাদের প্রাকৃতিক গ্যাসে উৎপাদিত, নিজেরা নিয়ে আসছি। আরো এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, অর্থাৎ এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা ভারত থেকে নিয়ে আসছি কিনে। বিনিময়ে আমরা এলপিজি তাদের দিচ্ছি। লাভ-লোকসান হিসেব করলে বাংলাদেশেরই লাভ বেশি।’
মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য জেনে শুনে জ্ঞানপাপীরা কথা বলে যাচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশ দিয়েছেন আর বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।