আবরার হত্যা মামলায় অমিত ও তোহা রিমান্ডে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও মোহাম্মদ তোহার পাঁচ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনসারী এ আদেশ দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অভিরাম মল্লিক অভি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান অমিত সাহা ও মোহাম্মদ তোহাকে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁদের এ রিমান্ডের আদেশ দেন।’
অভি বলেন, ‘আজ আদালতে মোহাম্মদ তোহার পক্ষে আইনজীবী থাকলেও অমিত সাহার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অমিত সাহা বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বুয়েটের শিক্ষার্থীরা দাবি করেছিলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অমিত সাহাও জড়িত।
আবরারকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষে থাকতেন অমিত।
গত রোববার রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় সোমবার রাতে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ। সেই রাতেই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১১ জনকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এদিকে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, উপসমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপদপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, দুই সদস্য মুনতাসির আল জেমি ও এহতেশামুল রাব্বি তানিম এবং শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, সাখাওয়াত ইকবাল অভি, অমিত সাহা, মিজানুর রহমান মিজান ও মাজেদুল ইসলাম।