রিশা হত্যা মামলায় ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলায় আসামি ওবায়দুলের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর কাকরাইলে নিজ স্কুলের সামনে খুন হয় রিশা। ও তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক গত ৬ অক্টোবর রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। কিন্তু ওই দিন আসামিকে আদালতে হাজির না করায় রায়ের তারিখ পিছিয়ে যায়। গতকাল বিচারক আজ বৃহস্পতিবার নতুন করে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
আইনজীবী আরো বলেন, এর আগে এ মামলায় অভিযোগপত্রের ২৬ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলী হোসেন রিশা হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে ২৬ জনকে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয়। নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাবীবের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ওবায়দুল।
জবানবন্দিতে ওবায়দুল বলেন, ‘আমি রিশাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তাই আমি তাকে ছুরিকাঘাত করি।’ এর আগে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হকের নেতৃত্বে ওবায়দুলকে নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় আনা হয়।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর দুপুরে ঢাকার কাকরাইলে স্কুলের সামনে ফুটওভার ব্রিজের ওপর রিশার পেট ও হাতে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান টেইলার্স কর্মচারী ওবায়দুল। রিশাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রিশার মা রমনা থানায় দণ্ডবিধির ৩০৭ (হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত) ধারায় মামলা করেন। পরে রিশার মৃত্যু ঘটলে তা সরাসরি দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা) ধারায় মামলায় রূপান্তরিত হয়।