পুলিশের লাঠিপেটায় আবরারের ভাইসহ আহত চার
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামে পুলিশের লাঠিপেটায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত ছাত্র আবরার ফাহাদের ভাইসহ চারজন আহত হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার আবরারের পরিবারের সাথে দেখা করতে গেলে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে প্রতিহত করা গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এ আক্রমণ চালায়।
বিকালে উপাচার্য সাইফুল রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরারের কবর জিয়ারতের পর তাঁর মাকে সমবেদনা জানাতে তাঁদের বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী উপাচার্যকে ঘিরে রেখে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে উপাচার্য জেলা প্রশাসকের গাড়িতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি চলে যাওয়ার পর পুলিশ গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় আবরার ফাহাদের ভাই আবরার ফাইয়াজসহ চারজন আহত হন।
বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) গত রোববার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে বুয়েটের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মাসুক এলাহি তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে আবরারকে হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী।
এদিকে, আবরারের জন্য বেলা ১১টার দিকে জেলা স্কুল জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে আবরারের সহপাঠী ও শিক্ষকসহ কয়েক শ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এ সময় আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ বুয়েট কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গেছে তাদের অনেককেই মামলায় বাদ দেয়া হয়েছে। যার নেতৃত্বে নির্যাতন করা হয়েছে তাকেই মামলায় আসামি করা হয়নি।’
তিনি বাদ পড়াদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান। তবে তিনি এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সরকারের পদক্ষেপে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানেন স্বজন হারানোর ব্যথা। তিনি যদি সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন তাহলে আমার বিশ্বাস আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা দ্রুত সময়ে সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে।’