সম্রাট অসুস্থ, রিমান্ড শুনানি পেছাল
সদ্য বহিষ্কৃত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় পুলিশের করা ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর সম্রাটের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এমএম) সরাফুজ্জামান আনসারী এ দিন ধার্য করেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ সম্রাটের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সম্রাট অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী সিএমএম আদালতে একটি চিঠি পাঠান। সে চিঠির পরে বিচারক সম্রাটের রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেন।
নিজাম উদ্দিন আরো জানান, এ ছাড়া আজ সম্রাটের সহযোগী যুবলীগ নেতা আরমানের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য ছিল। সে রিমান্ড শুনানিও পিছিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজুল হক ভূইঁয়া সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন ও তাঁর সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরা আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
নথি থেকে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর বিকেল ৪টায় র্যাব ১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা দুটি করে। এর মধ্যে মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের মুনীর হোসেন চৌধুরীর বাসা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে আটক করে র্যাব। পরে তাঁদের ঢাকায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে অভিযানে বের হয় র্যাব। রাজধানীর কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে তাঁর কার্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় র্যাবের একটি দল। সেখানে অবৈধ পিস্তল, গুলি, ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া, ১৬ বোতল বিদেশি মদ, এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা, নির্যাতন করার জন্য বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার যন্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। একই সময় সম্রাটের মহাখালী ও শান্তিনগরের ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
পরে কাকরাইলের নিজ কার্যালয়ে ক্যাঙ্গারুর চামড়া রাখার দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদেশ দেন। পরে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার হওয়ায় এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতে তাঁকে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়।