পদ্মার তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে আবারও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

প্রায় সাড়ে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ছোট আকারের দুটি ফেরি দিয়ে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌপথে চলাচল শুরু হলেও রাত ৮টার দিকে আবারও বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে আজ সকাল থেকে দু-তিনটি ফেরি দিয়ে এ পথে ফেরি চলাচল কোনোভাবে চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে একই কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই পথে গত পাঁচদিনেও চালু হয়নি লঞ্চ চলাচল। রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর পানি বেড়ে তীব্র স্রোত সৃষ্টি হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মুন্সীগঞ্জ থেকে মঈন উদ্দিন সুমন জানিয়েছেন, এর আগে তীব্র স্রোত ও নাব্য সংকটের কারণে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। উত্তাল পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ফেরিগুলো টিকতে না পারায় নিরাপত্তার জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়।

এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আমিনুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া প্রান্তে বিভিন্ন প্রকারের প্রায় সহস্রাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। এতে ঘাটে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে দিনের বেলায় লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল সচল রয়েছে।  

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী আজ জানান, লাশবাহী গাড়িসহ আরো কিছু জরুরি যান দিয়ে দিনের বেলায় ২-৩টি ফেরি চালু রাখা হয়। তার মানে এখনো ফেরি সার্ভিস সচল বলা যাবে না।

রাজবাড়ী থেকে আহসান হাবিব জানিয়েছেন, তীব্র স্রোতের কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আর এই পথে গত পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে লঞ্চ চলাচল।

স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে পারছে না ফেরিগুলো। শত শত যানবাহন আটকে আছে পারাপারের অপেক্ষায়। যার ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

ছয়টি ঘাটের মধ্যে মাত্র দুটি ঘাটে ফেরি ভিড়তে পারলেও তীব্র স্রোতে বাকি চারটিতেই ভিড়তে পারছে না।

সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়ক পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানিয়েছে, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে সাতটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যার ফলে ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘলাইন সৃষ্টি হয়েছে।