কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চিরনিদ্রায় আবরার
মেধাবী আবরার ফাহাদ শুধু বুয়েট নয়, সুযোগ পেয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও।
আবরার বেছে নিয়েছিলেন বুয়েট। স্বপ্নটা ছিল অনেক বড়। সেই স্বপ্নের সমাধি রচিত হল। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙার কবরস্থানে ওই সমাধি। চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন আবরার ফাহাদ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে রায়ডাঙ্গা কবরস্থানে আবরারের লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে ভোর ৬টার দিকে আবরারের লাশ কুষ্টিয়ার পিটিআই রোডের নিজ বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়। লাশ পৌঁছাতেই সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। আবরারের মা-বাবাসহ স্বজনদের কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। সেই সঙ্গে আবরারকে শেষবারের মতো দেখতে বাড়ির চারপাশে ভিড় জমান এলাকাবাসী।
এরপর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পিটিআই রোডের আল-হেরা জামে মসজিদের সামনের রাস্তায় আবরারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বুয়েটে আবরারের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সুষ্ঠু তদন্ত করে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছে আবরারের পরিবার। এ ছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও।
এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা করেছেন তাঁর বাবা বরকত উল্লাহ। গতকাল সোমবার রাতে তিনি এ মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলকে। দ্বিতীয় আসামি হলেন যুগ্ম সম্পাদক মুহতাসিম ফুয়াদ।
বরকত উল্লাহ জানান, ছেলে হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে ১৯ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে আবরার হত্যায় এ পর্যন্ত নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ১৪ জনকে শনাক্ত করেছে তারা।
গতকাল সোমবার বুয়েটের শেরে বাংলা হল থেকে উদ্ধার করা হয় আবরারের লাশ। আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।