লটারি নিয়ে বোয়ালমারীতে সংঘর্ষে আহত ১০
ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌর সদরে লাকি কুপনের (লটারি) ড্রকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের ওয়াবদা মোড়ে অবস্থিত কাজী আবদুল্লাহর মালিকানাধীন ‘কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে’ এ ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আজ শনিবার ওই মার্কেট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত ইয়াকুব হোসেন, বিলায়েত হোসেন, মাহিদুল হোসেনকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রমজানের ঈদ, কোরবানির ঈদ এবং দুর্গাপূজায় কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের জন্য লাকি কুপনের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার রাতে সেই লাকি কুপনের ড্র অনুষ্ঠানের সময় মঞ্চে ওঠা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
মার্কেটের ‘ইমু জিন্সের’ মালিক মো. ইয়াকুব হোসেন বলেন, ভাড়াটিয়া গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে দোকান মালিক ও দর্শকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন মার্কেটের মালিক কাজী আবদুল্লাহ আল-রশিদ। লাকি কুপনে স্বজনপ্রীতি ও পক্ষপাতিত্ব হয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
‘নকশি বাংলার’ মালিক আল-আমিন মোল্লা বলেন, লাকি কুপনের প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি পুরোনো মোটরসাইকেল দেওয়া হয়, যা নিয়ে দোকান মালিক ও কুপনগ্রাহকরা আপত্তি জানান। স্বজনপ্রীতি করে মোটরসাইকেলটি নিজেদের লোককে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
একই অভিযোগ করেন দোকান মালিক সুকান্ত পাল।
মার্কেট মালিক কাজী আবদুল্লাহ আল-রশিদ এনটিভি অনলাইনকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্যই মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ খায়রুজ্জামান বলেন, ‘আমি থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছিলাম।’
বোমালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি দোকানমালিকসহ লোকজনকে লটারি না দেওয়ার জন্য বলেছিলাম। তারা আমার নিষেধ শুনে নাই।’