রাস্তায় নেমে এলে সরকারের পতন নিশ্চিত : রিজভী
বিএনপির নেতাকর্মীদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাস্তায় নেমে এলে ক্ষমতাসীন স্বৈরাচার সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভারতের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আধা লিটার পানিও আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। এটা ভারত-তোষণ নীতিরই ফল।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন রিজভী। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাজধানীর নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিম শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান জুয়েল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাজিব আহমেদ, সহসভাপতি মাহমুদুল হাসান বসুনিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব আহমেদ রানা প্রমুখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে ছাত্রদলের এই বিশাল মিছিলের আওয়াজ স্বৈরাচারের বক্ষে কম্পন ধরাবে। এভাবে ছাত্ররা রাস্তায় নেমে এলে এই নিষ্ঠুর স্বৈর-সরকারের পতন হতে আর বেশি সময় লাগবে না।’
রিজভী আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে শেখ হাসিনার ‘নো কম্প্রোমাইজ’ বলাতেই প্রমাণিত হয়, খালেদা জিয়া শেখ হাসিনার জেদ ও প্রতিহিংসার কারণেই কারাগারে বন্দি হয়ে আছেন। সে ক্ষেত্রে আইন ও বিচারিক প্রক্রিয়া কেবল মুখোশমাত্র।”
প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “আগের সফরে প্রধানমন্ত্রী তিস্তার আধা লিটার পানিও আনতে পারেন নাই। সমতার ভিত্তিতে আদায় দূরে থাক, ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনা একটা কানাকড়িও আদায় করতে পারেননি। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজ মুখেই বলেছেন, ‘আমরা ভারতকে অনেক কিছুই দিয়েছি।’ কিন্তু কী দিয়েছেন তা জনগণ এখনও জানে না। জনগণ শুধু জানে ভারত থেকে কিছু আদায় করতে শেখ হাসিনা ব্যর্থ হয়েছেন। ”
রিজভী আহমেদ আরো বলেন, কোনো কোনো মন্ত্রী অতি উৎসাহী হয়ে বলছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রী কিংবা ভাই-বোনের। কিন্তু কে স্বামী, কে স্ত্রী বা কে বোন, কে ভাই—সেটি উল্লেখ করেননি। জনগণও এটি জানতে চায়। আমরা বিশ্বাস করি, বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করে সমতার ভিত্তিতে লেনদেন সম্ভব। কিন্তু নতজানু পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন করলে কেউই পাত্তা দেয় না।’