‘লোকমানের নির্দেশে ক্যাসিনোতে মদ বিক্রি করা হতো’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ও মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে আবারো দুদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনূর রহমান এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ উদ্দিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
রিমান্ড আবেদনে পুলিশ বলেছে, আসামি লোকমানকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ক্যাসিনোতে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ তাঁর (লোকমান) নির্দেশনা মতে সরবরাহ করে বিক্রি করা হতো। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি কিছু তথ্য দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামি তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ক্যাসিনো সংক্রান্ত অস্পষ্ট তথ্য দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আজাদ রহমান। তিনি আসামির রিমান্ডের পক্ষে কথা বলেন। আসামি পক্ষে ছিলেন মকবুল হোসেন ফকির ও রুহুল কুদ্দুস কাজল।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মকবুল হোসেন ফকির শুনানিতে বলেন, ‘লোকমান হোসেন ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব পরিচালনা করে আসছেন। তাঁকে আটদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বাসা থেকে চার বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে। এতবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তো চার বোতল মদ পাঁচ বোতল বা তিন বোতল হয়ে যায়নি। আর তার শোবার ঘর থেকে মদ উদ্ধার করা হয়েছে। এর সাথে আর কেউ জড়িত না বা কেউ পালিয়ে যায়নি। রিমান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ডের ঘোর বিরোধিতা করছি। শুনানি শেষে বিচারক এ রিমান্ডের আদেশ দেন।’
এর আগে গত ২৭ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুই দফায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এর পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হলে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মণিপুরীপাড়ার নিজ বাসা থেকে লোকমান হোসেন ভূঁইয়াকে আটক করা হয় বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান র্যাব-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ। তাঁর বাসায় অভিযান চালিয়ে একাধিক বোতল মদ পাওয়া যায় বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।