প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের ভারত সফরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা ছেড়েছেন। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ভারত অর্থনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রীর এই নয়াদিল্লি সফর।

প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-২০৩০) আজ সকাল ৮টার দিকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় নয়াদিল্লি পৌঁছাবে। একটানা তৃতীয়বারের মতো সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটি হবে প্রথম দিল্লি সফর।

এদিন শেখ হাসিনা হোটেল তাজ প্যালেসের দরবার হলে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে বাংলাদেশবিষয়ক কান্ট্রি স্ট্র্যাটেজি ডায়ালগে যোগদান করবেন।

একই দিনে তাঁর সম্মানে মৈত্রী হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত একটি সংবর্ধনা এবং বাংলাদেশ হাউস আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এ নৈশভোজের আয়োজন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী ৪ অক্টোবর ভারতের তিনটি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড এক্সচেঞ্জের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ও মতবিনিময় করবেন। সিঙ্গাপুরের উপ-প্রধানমন্ত্রী হেং সুয়ি কিট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিনে শেখ হাসিনা হায়দরাবাদ হাউসে আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় যোগ দেবেন এবং পরিদর্শক বইতে স্বাক্ষর করবেন।

৫ অক্টোবর দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টন ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চলচ্চিত্র নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনেগাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শেখ হাসিনা ৬ অক্টোবর দেশে ফিরবেন।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গতকাল বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে প্রকৃতপক্ষে কয়টি চুক্তি হতে পারে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারব, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে।’