আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতরা সবাই গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন। দুর্নীতিবিরোধী এ শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের এ অভিযান লোক দেখানো নয়।’

এ সময় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ওয়েট অ্যান্ড সি। আরো তথ্য নেওয়া হচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই হচ্ছে। একটু সময় লাগছে। তাড়াহুড়োর কিছু নেই।’

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

চলমান অভিযান রাজনৈতিক বিষয় নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারা দেশে যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তারা গোয়েন্দা নজরদারিতে আছেন। অভিযান চলবে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ও সুন্দরবন থেকে সুনামগঞ্জ পর্যন্ত। দেশের কোনো এলাকাই অভিযানের বাইরে থাকবে না।

‘অভিযানের বিষয়ে আসলে কী করবেন, তা প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন। অভিযান আরো জোরদার হবে, এ ব্যাপারে তিনি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটা যে কথার কথা নয় বা লোক দেখানো নয়, সেটি তিনি স্পষ্ট বলেছেন। সেটি নিয়ে সংশয় নেই।’

যুবলীগ নেতা সম্রাটকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা কাউকে ছাড় দেব না। যাকেই গ্রেপ্তার করব, উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ নিয়েই গ্রেপ্তার করবার মতো অবস্থা হলেই গ্রেপ্তার হবে। এটা বলা আছে যে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই ব্যক্তিবিশেষ কোনো বিষয় নয়। ব্যক্তি যেই হোক, অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না। এত তাড়াহুড়া নেই। সাম্প্রতিক অভিযানে টার্গেট হলে অবশ্যই আটক হবে।

তবে কতজন গ্রেপ্তার হবেন, সে রকম কোনো তালিকা নেই উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিনই কেউ না কেউ গ্রেপ্তার হচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘দুর্নীতিতে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা কে কতটা দুর্নীতি করে কত টাকার মালিক হয়েছে, সেই হিসাবও নিতে হবে। আমরা নিজের ঘর থেকে শুরু করছি। ক্ষমতায় থেকে শুদ্ধি অভিযান আগে অন্য কোনো দল করেনি। আমরাই সৎ সাহস দেখাচ্ছি।’