ভয়-ভীতি ও হত্যার হুমকির অভিযোগের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময়ের মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আমানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিনুল ইসলাম।

গত ৫ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ভয়-ভীতি, হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলার আবেদন জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।

মামলায় বাদী তাঁর অভিযোগে বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা তাঁকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে ১৫ আগস্ট আইএস দিয়ে বাদীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ছাড়া বোমা মেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্র উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন দাবি করে বাদী এ বি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। এরপর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কেও আত্মসমর্পণের আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।