পরকীয়ার জেরে হত্যা : রায় শুনে পাখি অজ্ঞান
ঝালকাঠিতে বিউটি বেগম হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী আলম খানকে (৫০) আমৃত্যু ও স্বামীর প্রতিবেশী প্রেমিকা পাখি বেগমকে (৪০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে পাখি বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ গাজী রহমান দুই আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শুনে আসামি পাখি কাঁদতে কাঁদতে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে চ্যাংদোলা করে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যান দুই মহিলা পুলিশ ও দুই ব্যক্তি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেচরি গ্রামের আলম খানের সঙ্গে পাশের জয়কলস গ্রামের বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের ২২ বছর পর আলম খান প্রতিবেশী লাল মিয়ার স্ত্রী পাখি বেগমের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এতে স্ত্রী বিউটি বেগম বাধা দেন। এজন্য তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আলম খান ও পাখি বেগম। ২০১৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শ্বাসরোধ করে বিউটিকে হত্যা করেন স্বামী। পরের দিন বিউটির লাশ বাড়ির পাশের কচুক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ঝালকাঠিতে বিউটি বেগম হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী আলম খানকে (ডানে) আমৃত্যু ও স্বামীর প্রতিবেশী প্রেমিকা পাখি বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। ছবি : এনটিভি
এ ঘটনায় আলম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছোট ভাই ফোরকান সিকদার বাদী হয়ে কাঁঠালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। থানার পরিদর্শক মো. ইউনুস মিয়া ওই বছরের ১০ অক্টোবর আলম খান ও পাখি বেগমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্য চলার সময় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন পাখি বেগম। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আবদুল মান্নান রসুল, আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট খাইরুল আলম সরফরাজ।