এবারও ধামইরহাট বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবি
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির দ্বিতীয়বারের মতো ঘোষিত কমিটিও বাতিলের দাবি জানিয়েছেন দলটির একাংশের নেতারা। আজ শুক্রবার সকালে ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁরা কমিটি বাতিলের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আখরাজুল ইসলাম চৌধুরী। এ সময় সংগঠনের ত্যাগী নেতাদের নিয়ে নতুন কার্যকর কমিটি গঠনের দাবি জানান নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহবুবার রহমান চৌধুরী চপল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম মুসা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহেল হোসেন সুমন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মনছুর আলম, পৌর মহিলা দলের আহ্বায়ক বেলী খাতুন, পৌর ছাত্রদলের রুবেল হাসান রতনসহ আটটি ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গত ১৪ জুলাই ধামইরহাট উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজুর রহমান। এরপর গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় মনোয়ার কায়ছার বুলবুলকে আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু স্থানীয় নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে এই কমিটি স্থগিত করা হয়।
এরপর গত ২৯ আগস্ট দেওয়ান ফেরদৌস হাসানকে আহ্বায়ক করে পুনরায় ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। দ্বিতীয় দফায় ঘোষিত এই কমিটিতে ইমরুল হাসানসহ বিতর্কিত কয়েকজন নেতারা স্থান পাওয়া নিয়ে আবারও তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষোভ দেখা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে এবং স্থানীয় উপজেলা বিএনপির কোনরকম মতামত না নিয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজুর রহমান তাঁর একক সিদ্ধান্তে জেলায় বসে থেকে বারবার এইরকম বিতর্কিত কমিটি করে নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছেন। যার বলি হয়ে জীবন দিয়েছেন নিয়ামতপুর থানা বিএনপির ত্যাগী নেতা ওয়াহেদ আলী মেম্বার। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে লক্ষ্যে স্থানীয় নেতারা কমিটির সংশোধন দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে সিনিয়র ও গ্রহণযোগ্যদের নিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছি। কিন্তু ধামইরহাট উপজেলা বিএনপি নেতারা এই কমিটি মেনে নিতে পারছেন না। কারণ, তাঁরা এতদিন পকেট কমিটি করে উপজেলা বিএনপি চালিয়েছেন। আর আহ্বায়ক কমিটি তো একটা নিরপেক্ষ কমিটি হওয়ার কথা। এতে কারো কোনো আপত্তি মেনে নেওয়া হবে না।’