সুইস ব্যাংকে হাওয়া ভবনের কত টাকা, দেখা হচ্ছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাওয়া ভবনের কত টাকা সুইস ব্যাংকে আছে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর পূর্বাচলে ‘দুর্ঘটনা রোধে চালকদের উন্নত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ উদ্বোধনের পর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে অভিযান শুরু করেছেন সেই অভিযান মাদকের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিশৃঙ্খলা-অনিয়মের বিরুদ্ধে, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে চলছে। অতীতে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা নিজ দলের কোনো নেতাকর্মীকে অপকর্মের জন্য আইনের আওতায় আনেননি। কাউকে শাস্তি পেতে হয়নি। দুর্নীতির জন্য, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসীর জন্য অতীতে বিএনপির সরকার তাঁদের একজন কর্মীকেও শাস্তি দেয়নি। দুর্নীতি দমন কমিশনে একজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাঁর একটি নজিরও মির্জা ফখরুল দেখাতে পারবেন না।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে দেরিতে হলেও শেখ হাসিনা যে ফাইন্ডিং ড্রাইভ শুরু করেছেন, যে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন, এটি লোক দেখানো নয়। এই শুদ্ধি অভিযানের আওতায় কোনো দল নেই। সেটা আওয়ামী লীগ হোক বা বিএনপি হোক। রাঘববোয়াল হোক, চুনিপুঁটি হোক। কেউ রেহাই পাবে না, সবাইকে শাস্তি পেতে হবে।’
‘‘আজকে ফখরুল সাহেবরা বলেন, ‘সুইস ব্যাংকে টাকা।’ এই ইতিহাস তো আপনাদের। হাওয়া ভবনের কত টাকা সুইস ব্যাংকে আছে সেটিও আমরা খতিয়ে দেখছি। সিঙ্গাপুরে আপনাদের মানি লন্ডারিংয়ের টাকা ধরা পড়েছে। আপনাদের নেতার টাকা আমেরিকার এফবিআই ধরে ফেলেছে। তিনি বিচারে শাস্তি পেয়ে এখন টেমস নদীর পাড়ে পালিয়ে আছেন। এতে কি লজ্জা করে না? হাওয়া ভবন থেকে ক্যাসিনোর জন্ম দিলেন...বঙ্গবন্ধু আইন করে যে জুয়া বন্ধ করলেন, সেই জুয়া চালু করলো কে? আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমানই জুয়া চালু করেছেন। এই জুয়ার প্রবক্তা হচ্ছেন আপনারা। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অর্থ পাচার, সবকিছুই একে একে খুঁজে বের করব। আর ক্যাসিনোর মালিকরা কোন দলের, কোন নেতাদের কত টাকা মাসোহারা দেন সেটিও খুঁজে বের করা হবে। এই টাকা শুধু আওয়ামী লীগকে দেয়, বিএনপির লোকদেরও দেয়। তাঁদের খুঁজে বের করা হচ্ছে, অপেক্ষা করুন। রাঘববোয়াল কারা, চুনিপুঁটি কারা, সুইস ব্যাংকে হাওয়া ভবনের কথা টাকা জমা আছে সবকিছু বের করা হবে।’
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সরকার জোরালোভাবে কাজ করছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা আনতে চালক-পথচারী সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। চালককে যেমন সতর্কভাবে গাড়ি চালাতে হবে, তেমনি পথচারীকেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খানসহ বিআরটিএর কর্মকর্তারা।