তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে চট্টগ্রামে মসজিদ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ফতেনগর সিকদারবাড়ি জামে মসজিদ। ১০ কোটি টাকারও অধিক ব্যয়ে উপজেলার ফতেনগর গ্রামে কবরস্থানসহ দুই একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে মসজিদটি। মসজিদের পাশেই থাকছে একটি পুকুর।
চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সোহেল মোহাম্মদ ফকরুদ্দিন জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে এগিয়ে চলছে নির্মাণশৈলীর কাজ।
এরইমধ্যে মসজিদের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হতে এ বছর পুরোটাই লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে সিকদারবাড়ি জামে মসজিদটি শুধু চন্দনাইশ উপজেলায় নয়, পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
মসজিদের পশ্চিম পাশে পুকুরের পানি ঘেঁষে মিম্বর নির্মিত হওয়ায় ওই পাশ থেকে মসজিদটি দেখতে আরো দৃষ্টিনন্দন মনে হয়।
চন্দনাইশ উপজেলায় তিন শতাধিক মসজিদ রয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দোহাজারী থেকে বিজিসি ট্রাস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সড়কের দুপাশে ২৬টি মসজিদ রয়েছে। একইভাবে গাছবাড়িয়া কলেজগেট থেকে বরকল ব্রিজ পর্যন্ত শহীদ মুরিদুল আলম সড়কের দুপাশে ২৭টি মসজিদ রয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলার ফতেনগর সিকদারবাড়িতে প্রয়াত প্রথিতযশা আইনজীবী বদিউল আলমের ছেলে জিয়াউল কবির আদিলের অর্থায়নে তুরস্কের ব্লু মসজিদের আদলে বিগত পাঁচ বছর ধরে নির্মাণশৈলীর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৌশলী সোহেল মো. শাকুর। সব ধরনের কারুকার্য সম্পন্ন এ মডেল মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ করতে ছয় বছরের অধিক সময় ব্যয় হচ্ছে।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে। দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদের মধ্যে প্রতিটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। এসব মসজিদে দৈনিক চার লাখ ৪০ হাজার ৪৪০ জন পুরুষ ও ৩১ হাজার ৪০০ জন নারীর নামাজের ব্যবস্থা থাকবে।
এ ক্যাটাগরিতে ৬৪টি জেলা শহর ও চার সিটি করপোরেশনে ৬৮টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ লিফটসহ নির্মিত হবে।
এ মসজিদগুলোর আয়তন হবে দুই লাখ ৮১ হাজার ৫৮৪ বর্গমিটার। বি ক্যাটাগরিতে ৪৭৬টি মসজিদ এক লাখ ৬৪ হাজার ৭৪২ বর্গমিটার আয়তনে। সি ক্যাটাগরিতে ১৬টি মসজিদের আয়তন ৬১ হাজার ২৫ বর্গমিটার। প্রতিটি মসজিদে প্রতিদিন ৩৪ হাজার মানুষ একসঙ্গে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামিক বই পড়তে পারবেন।