ভাসমান বাজারের আমড়া ও পেয়ারা অনলাইনেও বিক্রি হবে
ঝালকাঠিতে ঐতিহ্যবাহী পেয়ারা ও আমড়ার বাজার নিয়ে আগে পড়েছেন ও টিভিতে দেখেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। আজ বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় নৌকা নিয়ে ঘুরলেন। বাজারের পেয়ারা ও আমড়া দেখে মুগ্ধ হলেন।
প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন ওই এলাকার পেয়ারা ও আমড়ার বাজার আরা বাড়বে এবং অনলাইনেও বিক্রি হবে এসব ফল। এ ব্যাপারে একটি প্ল্যাটফরম করার আশ্বাসও দিলেন তিনি।
সকালে সদর উপজেলার ভীমরুলী গ্রামের ওই বাজারে যান জুনায়েদ আহমেদ পলক। ওই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব এখানকার উৎপাদিত পেয়ারা এবং আমড়া যেটা ভাসমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে—সেটাকে যেন অনলাইন মার্কেট প্লেসেও নিয়ে যেতে পারি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষি এবং কৃষক বান্ধব সরকার। গত ১০ বছরে কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন । যার ফলে কিন্তু আমরা ফুলে ফলে ফসলে সব জায়গায় সারা বিশ্বের কাছে সমৃদ্ধশালী শস্য শ্যামল সুন্দর বাংলাদেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি। আমি এখানে সরেজমিনে এসে দেখলাম। এর আগে আমি শুনেছি পত্রিকায় দেখেছি টেলিভিশনে রিপোর্ট দেখেছি। কিন্তু আজকে এই যে আমাদের যে ভাসমান বাজার পেয়ারা এবং আমড়ার এটা দেখে আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি যথেষ্ট হয়েছে। এখনকার স্থানীয় সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু সাহেবের নেতৃত্বে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট সবই করে দিয়েছেন। ’
ই-কমার্স প্লাটফর্মের প্রয়োজন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে এখন যেটা প্রয়োজন আমাদের এই কৃষকরা যেহেতু ফসল উৎপাদন করে, তারা ওই ফসলের দামের ওপরে নির্ভর করে।’ তিনি বলেন, ‘এই ন্যায্য দাম যেন তারা পান এবং সরাসরি যেন তারা মাঠে এটা নিয়ে আসতে পারেন তার জন্য আমরা এখানে ই-কমার্স প্লাটফর্ম করে দিতে পারব এবং যেখানে আমরা এক শপ এবং এক সেবা আমাদের যে প্লাটফর্মগুলো আছে তার মাধ্যমে আমাদের এই পণ্যগুলো যাতে দেশে বিদেশে অনলাইনে তারা যাতে সেল করতে পারে, এখান থেকে যাতে আরো অনেক ন্যায্যমূল্যে তারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারে তার ব্যবস্থা করব। তার পাশাপাশি কীত্তিপাশা ইউনিয়নে হাইস্পিড অপটিক্যাল বেকল আমরা পৌঁছে দিয়েছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাজার প্রাঙ্গণে একটা ফ্রি ওয়াইফাই হটস্পট করে দেব। যেখানে আমাদের এই কষৃকরা, উৎপাদনকারী ক্রেতা বিক্রেতা এবং এলাকার সাধারণ জনগণ, শিক্ষক, পর্যটক, ছাত্রছাত্রী তারা সবাই উপকৃত হবে।’
প্রতিমন্ত্রী গ্রামের খালের ভাসমান পেয়ারার হাটে নৌভ্রমণ করেন। পরে তিনি নৌকায় চড়ে স্থানীয় পেয়ারা, আমড়া ও সবজি চাষিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।