তাবিজ দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষক আটক
তাবিজ দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসার এক ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী ইসলামিয়া কওমি হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা বশিরুল ইসলামকে (৫৭) আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে মাদ্রাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক মাওলানা বশিরুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বি-কাঁঠালিয়া গ্রামে। তিনি আট সন্তানের জনক।
বলাৎকারের শিকার ছাত্রটির মা সাংবাদিকদের বলেন, গত রোববার ভোর রাত ৪টার দিকে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বশিরুল ইসলাম আমার ছেলেকে তাবিজ দিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে টয়লেটের পাশে নিয়ে বলাৎকার করে। এ সময় একই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান তা দেখে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিকে এবং আমাদের জানান।
পরে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি গোলাম আবু ইছহাক বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ সোমবার গভীর রাতে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা বশিরুল ইসলামকে আটক করে।
ছাত্রটির মা আরো বলেন, বশিরুল আমার সন্তানকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে গত এক মাসে আরো কয়েকবার বলাৎকার করেছে। আমার ছেলে ইশারা ইঙ্গিতে এসব বিষয় আমাকে জানানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা তখন তা বুঝতে পারিনি।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বশিরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বশিরুল ছাত্রটিকে বলাৎকার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ছাত্রটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বলাৎকারের শিকার ছাত্রটির মা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক মাওলানা বশিরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে আজ মঙ্গলবার খালিয়াজুরী থানায় একটি মামলা করেছেন।