ঝালকাঠিতে গৃহবধূ হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন
ঝালকাঠিতে গৃহবধূ হত্যা মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ২০ হাজার এবং যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ. মো. তোফায়েল হাসান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার রাজপাশা গ্রামের শেখ খাইরুল হাসান ও পিলটন সরদার। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের রিপন সরদার, শাহাদাত হোসেন ও আবদুস ছালাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০২ সালের ১৬ মে রাতে রাজপাশা গ্রামের বাচ্চু খানের বাড়িতে একদল ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করে। বিষয়টি টের পেয়ে বাচ্চু চিৎকার করলে প্রতিবেশী আনোয়ারা বেগম বাইরে বের হয়ে শেখ খাইরুল হাসান নামের এক একজনকে চিনে ফেলেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীকে শেষ করার জন্য দুদিন পর ১৮ মে হাসানের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন ব্যক্তি কৃষক মকবুল হোসেনের ঘরে ঢুকে তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় পরের দিন ঝালকাঠি থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক কাজী আশ্রাফ আলী তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ষোঘণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল আর আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ সিকদার।