গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন উপাচার্য। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপাচার্য এ নিন্দা জানান।

উপাচার্য নিন্দায় বলেন, ‘গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়মুখী আসা শিক্ষার্থীদের ওপর ২ কিলোমিটার দূরে রাস্তায় হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিগত সাড়ে চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো প্রকার হামলা হয়নি। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কোনো সহিংসতা না করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

সদর ইউএনও সাহেব গত রাতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বললে, আমি উনাকে সাধ্যমত নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টার কথা বলেছি, কিন্তু আমাদের এত গার্ড নাই। আপনি পুলিশ প্রহরা দিন। আমার বাসায় পুলিশ দিতে চাইলে আমি বললাম, না দরকার নাই। একজন বৃদ্ধ লোক থাকে। যাওয়ার আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে। আমার কোনো শত্রু নেই। আর সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস চিরন্তন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অনেক ধৈর্য ধারণ করা প্রয়োজন এবং আমি বিগত ৩২ বছর শিক্ষকতা জীবনে সেটা করে আসছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করে আসছি-কেউ কোনো গণ্ডগোল করবেন না। ওরা আমারই সন্তান। আমরা ধারণা এটা কেউ স্যাবোটাজ করার জন্য করে থাকতে পারে।’

উপাচার্য নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার সৃষ্ট ছাত্রকল্যাণ ফান্ড হতে নিয়ম মতো তাদের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করা হবে। এ লক্ষে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসে তারা রিপোর্ট দিলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সংশ্লিষ্ট সকলের মিউচুয়াল রেসপেক্ট ও ধৈর্য কামনা করছি।’

উপাচার্য খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের মধ্যেই গতকাল শনিবার গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা হামলা চালায়। এতে সাংবাদিক, শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়।