‘সিনেমায় দেখতাম ক্যাসিনো, এখন আমাদের দেশেই আছে’
সিনেমায় দেখতাম ক্যাসিনো। সেটা এখন আমাদের দেশেই আছে। ক্যাসিনো যুবকদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের উদ্দেশ্য আদর্শ খেলোয়াড় তৈরি করা। আর সেখানে চলছে ইয়াবা, অস্ত্র, জুয়ার ব্যবসা।
আজ শনিবার ঢাকার মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবের সভাপতি মো. সফিকুল আলম ফিরোজের রিমান্ড শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ কথা বলেন।
আজাদ রহমান বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলায় পুলিশ যে রিমান্ড চেয়েছে তা মঞ্জুর করা হোক। তাহলে সত্য উৎঘাটন হবে।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মাসুদ এ রহমান শুনানিতে বলেন, আসামি ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত না। তাঁর ক্লাব থেকে শত শত ক্রিকেটার, ফুটবলার তৈরি হয়েছে। রাজনীতির ভেতর রাজনীতির কারণে তিনি পরিস্থিতির শিকার। তিনি নিজেই মাদকের বিরুদ্ধে। চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি অবসরপ্রাপ্ত মেজর রফিকুল ইসলামের সঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আর তিনি অফিসে ইয়াবা বিক্রি করবেন, এটা বোধগম্য নয়। আমরা তাঁর রিমান্ড নাকচ চেয়ে জামিন চাচ্ছি।
শুনানি শেষে বিচারক মাহমুদা আক্তার আসামি সফিকুল আলমকে দুই মামলায় পাঁচ দিন করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে আজ দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সফিকুল আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।
এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানের পর ক্লাবটির সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফিরোজ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
র্যাব জানিয়েছে, কলাবাগান ক্লাবে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জুয়া খেলার কয়েন ও তাস উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫৭২ প্যাকেটের বেশি কার্ড আমরা উদ্ধার করি। জুয়া খেলার কয়েন আমরা পেয়েছি। এখানে ক্যাসিনোর যে সামগ্রী, সেসব আমরা পাইনি। তবে ক্যাসিনো খেলার জন্য যেসব সামগ্রী ব্যবহৃত হয়ে থাকে, সেসব সামগ্রী আমরা পেয়েছি।’
‘একটি ভিন্ন ধরনের ইয়াবা পাওয়া গেছে। সাধারণত ইয়াবা যে প্যাটার্নের হয়ে থাকে, যেটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে থাকে, সেই ধরনের কোনো ইয়াবা না; এটি ভিন্ন ধরনের ইয়াবা। এটি হলুদ রঙের। কোনো প্রকার গন্ধ নেই, একেবারে ভিন্ন জিনিস আমরা নতুন আবিষ্কার করেছি’, যোগ করেন অধিনায়ক।