বক্তব্য নিয়ে শামসুজ্জামান দুদুর ‘দুঃখ প্রকাশ’
নিজের বক্তব্য নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের বাইরে আর কিছু করেছি তার নজির নাই। ওই টকশোতে আমার বক্তব্য আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগসহ কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। হয়তো এমন হতে পারে আমি যা বলতে চেয়েছি তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই, এটা আমার ব্যর্থতা।’
আজ শনিবার গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান শামসুজ্জামান দুদু।
বিবৃতিতে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিবিসি টিভিতে রাজকাহন নামে একটি টকশোতে আমরা কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। সাবেক ছাত্রনেতা জনাব গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল এবং আমি। একজন উপস্থাপিকা ছিলেন এই মুহূর্তে নাম মনে পড়ছে না। ওই অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করে একজন তার ফেসবুকে বক্তব্য দেওয়ার প্রেক্ষিতে একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যা অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। সেই বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের যেভাবে পতন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেইভাবে পতন হবে এই বক্তব্য সঠিক নয়। আমার সঙ্গে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ভিন্নতা আছে এটা সত্য। তাই বলে আমার ছাত্র জীবন থেকে বিএনপির সর্বশেষ রাজনৈতিক অবস্থান,সুদীর্ঘ একটি রাজনৈতিক পরিচিতি আছে। যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ। আমি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পাশাপাশি ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিয়েছি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন করেছি দীর্ঘ নয়টি বৎসর। সেই আন্দোলনে রাজপথে ছাত্রলীগের অনেক বন্ধু আমার পাশাপাশি ছিলেন। তাদের সঙ্গে এখনো আমার সখ্যতা আছে। ওই অনুষ্ঠানে একাধিকবার আমি বলেছি একটি সরকারের পতন দুই ভাবে হয় ১. নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২. গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের বাইরে আর কিছু করেছি তার নজির নাই। ঐ টকশোতে আমার বক্তব্য আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগসহ কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। হয়তো এমন হতে পারে আমি যা বলতে চেয়েছি তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই, এটা আমার ব্যর্থতা।’