জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কে শুনছে কার কথা!
একাধিক সংগঠন পৃথক পৃথক ভাবে মানববন্ধন করে একই সময়ে মাইকে বক্তব্য রেখে চলেছে। পুরো এলাকায় শুধু মাইকের চিৎকার আর হুঙ্কারের শব্দ। কে শুনছে কার কথা! এ দিকে কারো কোনো নজর নেই।
একই সময় বক্তব্য রেখে চলেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল ও বাংলাদেশ আওয়ামী তৃণমূল কর্মী পরিষদের নেতাকর্মীরাও। পাল্টা-পাল্টি বক্তব্যের সঙ্গে চলছে কে কত জোরে মাইকে চিৎকার করতে পারে তার প্রতিযোগিতা। দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অপরকে কুৎসা রটনা শেষ না হতেই বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে শান্তির বার্তা নিয়ে একই স্থানে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন শুরু করে জেএমআই গ্রুপ!
আজ শনিবার দুপুর ১২টার সময় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই দৃশ্য দেখা যায়।
ঘটনাস্থলে থেকে দেখা যায়,কয়েকটি সংগঠন বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল থেকে সবাই জোরে জোরে মাইকে কথা বলে চলেছেন। কারো বক্তব্যেই ঠিক মতো বোঝা যায় না। কারণ,একই সময়ে সবাই চিৎকার করে কথা বলছেন। পৌনে ১২টার দিকে প্রায় একই সময়ে ওলামা দল ও তৃণমূল কর্মী পরিষদ তাদের মানববন্ধন শুরু করেন। সাড়ে ১২টার দিকে প্রায় একই সময়ে তাদের কর্মসূচিও শেষ হয়। মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অপরকে দোষারোপ করে কথা বলতে দেখা যায়। দেখা যায় হুঙ্কার দিতেও।
পাশাপাশি দুটি সংগঠনের মানববন্ধন থেকে জোরে জোরে মাইকে কথা বলার কারণে কেউ কারো কথা ঠিক মতো শুনছে না। এ কারণে দুই মানববন্ধন থেকেই একে অপরের দিকে নেতাকর্মীরা তাকিয়ে দেখছে। আর কার চেয়ে কে জোরে চিৎকার করে বলতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। আওয়ামী তৃণমূল কর্মী পরিষদের মানববন্ধনের দিকে সাংবাদিকদের নজর ছিল কম। অপরদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন নেতা উপস্থিত থাকায় অধিকাংশ সাংবাদিকই ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের মানববন্ধনের সামনে।
ওই দুই দলের মানববন্ধন শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ব শান্তি বিদস উপলক্ষে শান্তির বার্তা নিয়ে একই স্থানে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন শুরু করেন জেএমআই গ্রুপ! প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনটি শুরু হয়। এরপর জেএমআই গ্রুপ শান্তির বার্তা হিসেবে কয়েকটি বন্দি কবুতর উড়িয়ে দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করার অভিযোগে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ আওয়ামী তৃণমূল কর্মী পরিষদ। এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দল।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের মানববন্ধন শেষে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক নেতা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এরা তো এসেছে আমাদেরকে ডিস্টার্ব করতে। আওয়ামী লীগের কাজই শুধু মানুষকে ডিস্টার্ব করা। এরা তাই করছে।’
বাংলাদেশ আওয়ামী তৃণমূল কর্মী পরিষদের সহসভাপতি সোহেল রানা দিদার বলেন, ‘আমরা এসেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটুক্তি ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিদাতা শামসুজ্জামান দুদুকে শাস্তির আওতায় আনতে। আমরা যৌক্তিক দাবিতে মানববন্ধন করছি।’