‘পেটের তাগিদে ক্যাসিনোতে চাকরি করি’
‘এখানে পেটের তাগিদে চাকরি করি। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?’
ফকিরেরপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে আটক হওয়া দুই নারী এভাবেই বলছিলেন। আজ বুধবার ওই ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই ক্লাবে থাকা ক্যাসিনো, জুয়ার সামগ্রী, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা জব্দ করে র্যাব। একইসঙ্গে ক্লাবে আটক ১৪২জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জানা যায় আটক দুই নারী ওই ক্লাবের ক্যাসিনোতে চাকরি করতেন।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আটককৃত দুই নারী এখানে চাকরি করত। তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে আটককৃত নারীরা ক্লাবের গোপন রুমে থাকতেন বলে জানা যায়। তাঁরা আটকের পরে সাংবাদিকেদের দেখে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। র্যাবের কাছে তাঁরা আর এ কাজ করবেন না বলে আকুতি জানান।
নারীরা র্যাবের নারী সদস্যকে বলেন, ‘আমাদের থ্রি-পিসটা পরতে দেন। এখানে পেটের তাগিদে চাকরি করি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস না পরলে চাকরি থাকবে না। এখানে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো। খারাপ কাজের কোনো সুযোগ নেই। এখানে জুয়ার বোর্ডে চাকরি করাটাই কি অপরাধ?’
নারীরা সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা পেটের তাগিদে এখানে চাকরি করতেন। কোনো অবৈধ কাজের সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন না। তারা আর এমন কাজ করবেন না।
তাঁরা আরো জানান, তাঁদের একজন রিসেপশনিস্ট ও আরেকজন জুয়ার বোর্ডের কার্ড সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁরা বলেন, ‘ রিসেপশনিস্টের বেতন ২১ হাজার আর কার্ড বিতরণকারীর ১০ হাজার। দৈনিক ১২ ঘণ্টা কাজের সময়।’ তাঁরা জানান, গত দেড় মাস ধরে চাকরি করছেন এখানে।
তারা জানান, তাঁদের স্বামী এখানে চাকরির কথা জানেন। তবে পরিবারের অন্যরা জানেন না।