শোভন-রাব্বানী কবে জেলে যাবে? ড. মোশাররফের প্রশ্ন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকার জন্য যদি জেলখানায় যান, তাহলে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শোভন-সাধারণ সম্পাদক রাব্বানী ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের জন্য কবে জেলখানায় যাবে?’
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ড. মোশাররফ বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদককে বহিষ্কার করা হয়েছে। আবার সরকারি দলের লোকেরা নিজেরাই বলছেন, ছাত্রলীগ থেকে যুবলীগের মধ্যেও বড় অনেক কিছু আছে। ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের ঘটনাটার সঙ্গেও নাকি অনেকে জড়িত আছে এ রকম অভিযোগ রয়েছে। আপনারা দেখেছেন বালিশের দুর্নীতি, পর্দার দুর্নীতি, বইয়ের দুর্নীতি। পত্রিকায় বেরিয়েছে, কোনো একটা প্রতিষ্ঠান ১০ কোটি টাকার সরঞ্জাম পাহারা দেওয়ার জন্য ৪৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এইভাবে দেশ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘যে মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে, এই মামলার সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাঁকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে, সেই টাকা আজ ছয় কোটিতে রূপান্তর হয়েছে। দুই কোটির জায়গায় ছয় কোটি হলে আত্মসাৎ করা হলো কীভাবে?’
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য ছিল খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বিএনপিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রেখে ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন করে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আমরা খালেদা জিয়ার নির্দেশে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছি। তখন আমরা দেখেছি তাঁর মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দিতে মানুষ প্রস্তুত ছিল। এ কথা জানতে পেরে সরকার ৩০ ডিসেম্বরের ভোট জনগণের হাতে দিতে সাহস পায়নি। তাই ২৯ ডিসেম্বর ভোট ডাকাতি হয়েছে, জনগণের ভোট ডাকাতি করে তারা আজকে গায়ের জোরে সরকার পরিচালনা করছে।’
মোশাররফ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সবচেয়ে সংকট হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা। খালেদা জিয়া কারাগারে থাকার কারণেই বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীনতা করে রাখা সম্ভব হয়েছে। দেশে অলিখিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। অলিখিত বাকশালকে পাকাপোক্ত করার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা চাই খালেদা জিয়া অতিদ্রুত মুক্তি পাক, তিনি মুক্তি না পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের কমিটির সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।