হৃদয় ধরা খেল ট্রিপল নাইনে, বেঁচে গেল কলেজছাত্রী
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় এলাকাবাসী এগিয়ে যাওয়ায় ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় হৃদয় মিয়া (২৩) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ভৈরব থানা পুলিশ।
হৃদয়ের বাড়ি ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগর গ্রামে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী একজন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়েন।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, মা-বাবা হারা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পাশের এলাকার বখাটে হৃদয় মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কলেজে যাওয়ার পথে তাঁকে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কথাবার্তা বলে প্রায়ই বিরক্ত করতো।
এ বিষয়ে হৃদয়ের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার নালিশ দেওয়া হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বছর দেড়েক আগে থানায় সাধারণ ডায়েরি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন কলেজছাত্রী। এতে কিছুদিন নীরব থেকে পুনরায় তাঁকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে শুরু করে হৃদয়।
এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘুমিয়ে থাকা ওই কলেজছাত্রীর রুমে ঢুকে দরজা আটকে দেয় বখাটে হৃদয়। বিষয়টি টের পেয়ে মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হৃদয়কে আটক করে এবং ঢাকায় অবস্থানরত মেয়েটির বড় ভাইকে ঘটনাটি জানান।
বড় ভাই এ সময় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে ভৈরব থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হৃদয়কে আটক করে। পরে বড় ভাই বাদী হয়ে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। পুলিশ আটক হৃদয়কে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহালুল খান বাহার জানান, ৯৯৯ পুলিশের জরুরি সেবা সহায়তা মাধ্যম। এই নম্বরে কল দেওয়ার পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেয়ে তাৎক্ষণিক উপপরিদর্শক মোখলেছুর রহমান রাসেলকে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বখাটে হৃদয়কে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।