ডেঙ্গুতে নতুন ভর্তি ৬৫৩, ছাড়পত্র পেয়েছেন ৬৯২
এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৩ নতুন রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সেইসঙ্গে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯২ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নতুন রোগীদের মধ্যে রাজধানীতে ১৯৩ এবং বাইরে ৪৬০ জন ভর্তি হয়েছেন।
সারা দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে দুই হাজার ৫০৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ৯৮৩ এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় এক হাজার ৫২৪ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কন্ট্রোল রুম আরো জানায়, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ৮৩৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং তাঁদের মধ্যে চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে চলে গেছেন ৯৭ শতাংশ বা ৭৯ হাজার ১২৯ জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২০৩টি মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে সংস্থাটি ১১৬টি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ৬৮টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
যশোরে নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু, নতুন ভর্তি ৮৪ জন
আমাদের যশোর প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম সজল জানান, জেলায় নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু। বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৭৬ জন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রতিনিয়ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গু থেকে পরিত্রাণে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান তাঁদের।
এদিকে যশোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত যশোর জেলায় মোট দুই হাজার ৩৫০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন সাতজন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন দুই হাজার ৭৪ জন। আর বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৭৬ জন। যার মধ্যে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৮৬ জন, আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক হাজার ১৪৮ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদ তাঁদের। এ জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় সামাজিকভাবে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাঁরা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুর রহিম মোড়ল বলেন, ‘সারা দেশের তুলনায় আমাদের যশোরে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ এখন একটু বেশি। আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এটা কমে আসবে। তবে এর মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’