নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিপেটা
শ্রমিক ছাটাই বন্ধ, বেতন-ভাতা পরিশোধ, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও মাসের ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের দাবিতে নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
জেলার কাচঁপুরে আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সিনহা ওপেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে।
সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভকালে শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে। এর ফলে সড়কের দুইপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শ্রমিকদের দাবি, পুলিশ কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই তাদের ওপর লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে প্রায় ২০ শ্রমিক আহত হয়।
পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, শ্রম আইন না মেনে কয়েক মাস ধরে সিনহা ওপেক্স গামেন্টস কারখানার শ্রমিকদের নানা কারণে ও বিভিন্ন অজুহাতে ছাঁটাই করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করতে হলে তিন মাসের আগাম বেতন ও বিভিন্ন ভাতা দিতে হবে।
এ ছাড়া মাতৃত্বকালীন ছুটিতে শ্রমিকদের কোনো কিছু দেওয়া হয় না। প্রতি মাসের বেতন দেওয়া হয় ১৫ তারিখের পর। এসব বিষয়ে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের কাছে বারবার দাবি জানালেও তারা কোনো কথা শুনছেন না। যে কারণে শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে দাবি আদায়ের জন্য।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত এ শাহিন জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের কয়েক দফা বুঝিয়েও সড়ক থেকে সড়ানো যাচ্ছিল না। তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ লাঠিপেটা, ফাঁকা গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।