বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ, অপূর্বর যাবজ্জীবন
চাকরি, প্রেম ও বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে অপূর্ব সরকার নামের এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বিচারক আসামি অপূর্ব সরকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও তা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরো চার মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি পলাতক।
নথি থেকে জানা যায়, পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামি বাদীকে ডেসটিনি গ্রুপের মালিবাগ হোসাফ টাওয়ার নামক বিল্ডিংয়ে ট্রেনিং কোর্সে ভর্তি হতে উৎসাহিত করেন। আসামি বাদীকে বিভিন্ন সময় ট্রেনিং শেষে চাকরি, প্রেম ও বিয়ে করার প্রলোভন দেখান। একপর্যায়ে বিশ্বাস করে বিয়েতে রাজি হন বাদী।
২০১১ সালের ১১ এপ্রিল মহাখালীতে একটি হোটেলে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকেন। এবং সেখানে আসামি একাধিকবার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন বাদী।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, আসামি অপূর্ব সরকারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে ২০১১ সালের ১৩ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে নিয়ে সিঁথিতে একটু সিঁদুর পরিয়ে বলেন বিবাহ সম্পূর্ণ হয়েছে। পরে ওই বছরের ১৬ মে বাদীর মা ও বোনকে আসামি জানান, অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে বউকে ঘরে তুলবেন। পরে ২০১৩ সালের ৭ মার্চ আসামি বাদীকে ঘরে তুলবেন না বলে জানান। বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(ক) ধারায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।