ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমার চিন্তাভাবনা আছে, ডিএমপির অধীন কোনো থানার গিয়ে হয়রানির শিকার মানুষ যদি কাঙ্ক্ষিত সেবা ও ভালো আচরণ না পায়, তাহলে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসিগিরি করব। মানুষের প্রতিদান দেব।’

আজ রোববার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার এ কথা বলেন।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমিসহ আমার সিনিয়র সহকর্মীরা থানায় গিয়ে ওসিগিরি করবেন। যদি দেখি, থানা থেকে মানুষ যথাযথ সেবা পাচ্ছে না, তাহলে সিনিয়র অফিসাররা সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও থানায় উপস্থিত থেকে সবকিছু দেখভাল করবেন।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরেই ঢাকার সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপকমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গে বসেছিলাম। থানার সেবা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে কঠোর ভাষায় কথা বলেছি। ওসি-ডিসিদের প্রয়োজনীয় ও কঠোর মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশ-ভীতি থেকে বের হতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে। থানায় সেবা নিতে যাওয়া কাউকে যেন কোনো ধরনের হয়রানি না করা হয়, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে পুলিশকে।’

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হয়রানির শিকার মানুষ থানা থেকে বের হয়ে যেন এই ধারণা করে যে, পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে পুলিশকে।’

নতুন কমিশনার আরো বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যাতে পুলিশের দ্বারা হয়রানি, চাঁদাবাজির শিকার, পুলিশি সেবার বিপরীতে যাতে আর্থিক লেনদেন না হয়, সেদিকে আমরা নজর রাখব। কারো বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অনেক সহকারী কমিশনার (এসি), ডিসিকে ঢাকার বাইরে পোস্টিং দেওয়া হয়েছে। তাহলে ওসিদের ঢাকার বাইরে পোস্টিং দিতে সমস্যা কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সিনিয়র অফিসার ও ওসিদের কাজের পার্থক্য রয়েছে। থানা লেভেলের কাজের ধরন আলাদা, অলিগলি চেনার দরকার আছে। তবুও আমরা নতুন অফিসার তৈরি করছি। আপনারা দেখেছেন, আমরা কিছুদিন পরপর ওসি তদন্ত থেকে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ওসি হিসেবে পোস্টিং দিচ্ছি।’