ডিমের দাম বেড়েছে হালিতে ৬ টাকা, সবজিও চড়া
চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বিশেষ করে শীতের আগাম সবজির দাম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।
গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ারবাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে ছয় টাকা করে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পাওয়া যাচ্ছে শীতের আগাম শিম। বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। ছোট আকারের ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। আরো বেশি দামে অর্থাৎ ১৪০ টাকা পর্যন্তও দরে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। টমেটো ৮০ টাকা, করলা ৫০ টাকা ও মূলার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, গাজর, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, উস্তে , ধুন্দুলসহ সব ধরনের সবজি। ছোট আকারের একটি লাউ ৫০ টাকা দরে, গাজর ৬০ টাকা কেজি, বরবটি কেজিপ্রতি ৭০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঝিঙা ৫০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে কারওয়ানবাজারে বাজার করতে এসেছেন হামিদুল ইসলাম। ছুটির দিনে তাঁর স্ত্রী তাঁকে শীতের আগাম সবজি শিম আর ফুলকপি নিয়ে যেতে বলেছেন। বাজার শেষে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছোট্ট ছোট্ট ফুলকপি ৪০ টাকা। পাতা বাদ দিলে অন্তত পাঁচটা লাগবে কেজি পুরতে। এত দামে কীভাবে কিনব? খেয়েও তো পড়তা হবে না। তবুও কিনলাম দুটো ৮০ টাকা দিয়ে। শিমের দামও ১২০ টাকা। ছয়জনের সংসার, তবুও নিলাম মাত্র ৫০০ গ্রাম।’
নিলয় মামুন নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, প্রায় সব সবজির দাম ৫০ টাকার উপরে। আসলে এসব ছোট-খাটো ব্যবসায়ীদের ঠিক মতো মনিটরিং করা হয় না বলে যে যার মতো দাম রাখছে। কী আর করার, সবই তো মেনে নিচ্ছি।’
সাদিক হোসেন নামের এক সবজির ব্যবসায়ী বলেন, ‘শীতের সময় যে সবজবিগুলো পাওয়া যায় তা আগাম বাজারে এসেছে। দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ বেশি নাই। তাই বেশি দামে কিনছি আমরা। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিন্তু সব সময়ের মতোই।’
ফজলুর রহমান নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘কোন জিনিসের দাম বেশি না? আমি বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামে বেচবোই। তবে সব সবজির দাম কিন্তু বেশি না।’