‘সরকার আদালতের মাধ্যমে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে’
সরকারের হস্তক্ষেপে ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই ঘটনাকে নজিরবিহীন মন্তব্য করে বলেছেন, ‘সরকার আদালতের মাধ্যমে রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
আদালতের স্থগিতাদেশের পর পরবর্তী করনীয় কী হবে তা ছাত্রদল নিজেরা নির্ধারণ করবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দলীয় চেয়ারপারসনের মুক্তির আন্দোলন অচিরেই আরো জোরদার করা হবে।’ দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ফিরিয়ে আনতে এই আন্দোলনে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে যোগ দেওয়ার আহবান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমান সরকার যারা আছেন, যারা নির্বাচিত সরকার নন, যাদের কোনো অ্যাকাউন্টিবিলিটি নেই, তারা কী চান? তারা বাংলাদেশে কি গণতন্ত্রের ন্যূনতম একটা পরিবেশ থাকুক সেটা কি তারা চান না? আজ বর্তমান সরকার যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরী করছেন এ সংস্কৃতি অত্যন্ত ভয়াবহ। আদালতকে দিয়ে রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেটা অত্যন্ত ভয়াবহ একটি বিষয়। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম গত ১০ বছর ধরে এ কাজটিই এখানে তারা করলেন।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।