গণতন্ত্রের কথা শুনলে আ.লীগের গায়ে জ্বালা ওঠে : বিএনপি
বিএনপিকে রাজনীতি করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করছি। এ জন্য যে কাউন্সিল করা দরকার, সে কাউন্সিল করতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তাতে বাধা দিচ্ছে সরকার। আপনারা দেখেছেন, ছাত্রদলের যে কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল, সেটাতেও কোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক অবস্থান কর্মসূচিতে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। খালেদা জিয়া এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক, খালেদা জিয়া ‘গণতন্ত্রের মা’, ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’। কিন্তু এই সরকার তাঁকে আজ হীন উদ্দেশ্যে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে।”
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরো বলেন, ‘আজকে যারা ক্ষমতায়, তারা ১৯৭৫ সালে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান বাকশালের পরিবর্তে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। যখন তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তখন এই দেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্বই ছিল না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া স্বৈরাচারকে হটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এ জন্য আজকে যারা ক্ষমতায়, তারাও এই ব্যাপারে ভীতু। এ জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এ জন্যই ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট ডাকাতি হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের কথা শুনলে আওয়ামী লীগের গায়ে জ্বালা ওঠে।’
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন করার জন্য আমাদের নেত্রীকে জেলে নিয়ে রেখেছে। নেত্রীর কথামতো আমরা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সেই নির্বাচনে ৮০ ভাগ লোক ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। তখনই ২৯ ডিসেম্বর রাতে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গেল। গণতন্ত্রের পক্ষে বিএনপি, আর আওয়ামী লীগ বারবার প্রমাণ করেছে তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। আজকে প্রধান বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্র; আর গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে না পারলে দেশের এ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ পাব না।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সময় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলাম, তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো.আনোয়ার, এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।