ছাত্রদলের কাউন্সিলে নিষেধাজ্ঞা, আদেশে যা বলা আছে
বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের ১০ নেতাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার চতুর্থ সহকারী জজ নুসরাত জাহান বীথি এ আদেশ দেন।
এর আগে আজ দুপুরে সদ্য বিদায়ী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আমান উল্লাহ বাদী হয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির মামলা করেন। মামলা নম্বর দেওয়ানি ১২৮/১৯।
বিচারক আদেশে বলেন, ‘দাখিলী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত ও নথি পর্যালোচনা করা হলো। প্রার্থীত মতে মামলার বিবাদী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মো. রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হইবে না, ততমর্মে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য ১-১০ নম্বর বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হলো। ইতোমধ্যে অত্র বিবাদীদের দরখান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দ্বারা বারিত করা হলো।’
আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে কাউন্সিলের সব কার্যক্রম স্থগিত হয়ে গেল।
এর আগে গত ১৫ জুলাই ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল, ২০০০ সালের আগে যারা এসএসসি পাস করেছে, তারা কাউন্সিলে প্রার্থী হতে পারবেন না। তখন এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ছাত্রদলের ‘বয়স্ক’ নেতাদের একাংশ বিদ্রোহ শুরু করে। বাদ পড়া নেতারা বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে টানা বিক্ষোভ করে। ফলে ১৫ জুলাই কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হন দায়িত্ব পাওয়া নেতারা। ক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলে তাদের শান্ত করেন।
যদিও ক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতাদের ক্ষোভ কমাতে বিশেষভাবে কাজ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।