জামিন মেলেনি, বিএনপি নেত্রী রাজিয়া কারাগারে
রাজধানীর বংশাল থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভানেত্রী রাজিয়া আলিমের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হেলাল চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গতকাল বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (নুর আলম) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজিয়া আলিমকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল আজ বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন নির্ধারণ করে আসামি রাজিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হেলাল বলেন, ‘আজ রাজিয়ার আইনজীবী ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া জামিনের শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন। মামলার এজাহারে তাঁর নাম নেই। সন্দেহবশত গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন বয়স্ক মহিলা। তাঁর ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে আক্রান্ত। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।’
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল বের করে বংশাল থানাধীন আহম্মেদ বাওয়ানী স্কুলের দিকে অজ্ঞাত আসামিরা অগ্রসর হয়। তাঁরা চলাচলরত যানবাহনে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, গাড়ি ভাঙচুর, দোকান-পাটে হামলা চালানোর চেষ্টাসহ এলাকার লোকজনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন পূর্বক ওই এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় বংশাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজাহার হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এরপর বংশাল থানার উপপরিদর্শক(এসআই) আবু সাইদ চৌধুরী তদন্ত শেষে গত ৩০ জুন রাজিয়া সুলতানাসহ ২৫ বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পুরান ঢাকার নয়াবাজারের বাগডাসা লেনের বাসা থেকে রাজিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগেও গত বছরের ৪ ডিসেম্বর রাজিয়া আলিমকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছিল বংশাল থানার পুলিশ।