পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ : আ.লীগ নেতা ঘণ্টু গ্রেপ্তার
পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘণ্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঈশ্বরদীর উপজেলার মুলাডুলি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ঘণ্টু পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া রানীগ্রামের বাসিন্দা। তিনি দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ঘণ্টু টেবুনিয়া ছিটগোডাউনের পাশে অফিসের একটি কক্ষে গৃহবধূকে তিন দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করেন।
ভিকটিম নারীর অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ আগস্ট এক সহযোগীসহ তাঁকে তাঁর বাড়িতে ধর্ষণ করেন। দুদিন পর তাঁকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিন দিন আটকে রেখে সেখানেও চার থেকে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে। বিষয়টি ওই নারী বাড়ি ফিরে স্বজনদের জানালে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাঁকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পুলিশ প্রথমে অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করে। এরপর ওই নারীর রিকশাচালক স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় ডেকে এনে বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সংবাদ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। ধর্ষণের মামলা না নিয়ে মীমাংসা না করে অভিযুক্ত ধর্ষকের সঙ্গে ওই গৃহবধূকে বিয়ে দেন পাবনার সদর থানার ওসি। এ ঘটনা জানাজানি হলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ।
পরে গত সোমবার ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা নেয় পুলিশ। এর পর গণধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।