বিচারকরা মুক্তমনে কাজ করতে পারছেন না : মওদুদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে দুটি মিথ্যা মামলায় বন্দি রাখা হয়েছে। আজ দেড় সপ্তাহ থেকে দেড় বছর হতে চলল, তিনি জেলখানায়। তাঁর একটি মাত্র কারণ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আদালতে বিচারকরা মুক্তমনে কাজ করতে পারছেন না। আর এ কারণে আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁকে মুক্ত করা যাচ্ছে না।’
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
এ সময় মওদুদ বলেন, ‘আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। কিন্তু, আমাদের এর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সারা বাংলাদেশে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে হবে এবং সেজন্য কর্মসূচি দিতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘একমাত্র রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই খালেদা জিয়ার মুক্তি আমরা অর্জন করতে পারি। অন্যথায় সম্ভব হবে না।’
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, বেশিদিন মানববন্ধন করলে চলবে না। আমাদের দানববন্ধন কর্মসূচি দিতে হবে। রাজনীতিবিদদের আদালত আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। খালেদা জিয়ার মতো নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করা অসম্মানজনক।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘যে আদালত নিজে চলতে পারে না, যে আদালত নিজের চিন্তা ভাবনা প্রয়োগ করতে পারে না, যে আদালত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বাইরে এক কদম হাঁটতে পারে না, সে আদালতের ওপর নির্ভরশীলতা আর খালেদা জিয়াকে আদালতে রাখা একই কথা।’
গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘আমরা যদি মনে করি, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকার একমাত্র বাধা, তাহলে সরকারের পতনের আন্দোলনই আগে করব। এবং তারপর খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবেই মুক্ত হয়ে আসবেন।’
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে আরো অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন প্রমুখ।